ব্রেকিং নিউজ :
স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য: বক্তারা রোকেয়া পদকজয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সকল রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনার অঙ্গীকার: সিইসি দেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-২৭
  • ৭৩২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।দেশব্যাপি অতিদ্রুত মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও গুণগত মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে সামিট কমিউনিকেশন্স এবং বাংলালিংকের টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন,‘ টাওয়ার শেয়ারিংয়ের এই যাত্রা কোয়ালিটি অব সার্ভিসের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে ৪টি কোম্পানির স্বাক্ষরিত টাওয়ার শেয়ারিংয়ের চুক্তির মাধ্যমে গৃহীত উদ্যোগের যাত্রা শুরু হলো। এর ফলে বিশাল বিনিয়োগ নির্ভর টেলিকম খাতে মোবাইল অপারেটরদের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজটি যেমন সহজ হলো, তেমনি গুণগত মানের মোবাইল সেবা প্রদানের বিষয়টিও অপারেটরদের জন্য হয়েছে সহজতর।’
তিনি বলেন, গুণগত সেবা নিশ্চিত করতে স্পেকট্রাম সহসাই নিলাম করা হবে।
অন্যান্যেও মধ্যে এ অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, বাংলা লিংক গ্রুপের চেয়ারম্যান সার্গে হেরিরিরো, বাংলা লিংকের সিইও এরিক অস এবং সামিট টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড চেয়ারম্যান ফরিদ খান বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে পৃথিবীর যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এক বিন্দুও পিছিয়ে থাকবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, যে জাতি অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে সে জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূর-দৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জন্য তৈরি হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ’র সদস্য পদ অর্জন এবং ’৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপণের মাধ্যমে দেশকে ডিজিটালাইজ করার যে বীজ বপন করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট জনগণের জন্য সহজলভ্য করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তা চারা গাছে রূপান্তর করে ছিলেন। ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গত এগারো বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি একটি বিরাট মহিরূহে রূপান্তর লাভ করেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের এমন কোন গ্রাম থাকবে না যেখানে উচ্চ গতির ইন্টারনেট থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন,‘আগামী দিনের শিল্প কারখানা হবে ৫জি প্রযুক্তি নির্র্ভর। আমরা ৫-জি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি’।
তিনি জানান, টেলিকম খাত প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্বের যোগান দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ডিজিটাল সংযোগ জাতীয় প্রবৃদ্ধির জন্য বিশাল অবদান রেখে চলেছে। কোভিড কালে বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধি সেখানে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন দেশের অগ্রযাত্রায় বড় দৃষ্টান্ত।
মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশ অবকাঠামো তৈরির সাথে সংশ্লিষ্ট টেলিকম অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের চেয়েও ভালো বলে উল্লেখ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat