স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “দেশের কিছু মানুষ ও একই সাথে বিদেশে থাকা কিছু ষড়যন্ত্রকারী মিলে দেশের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, কোন কিছুতে না পেরে শেষ পর্যন্ত দেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে জরুরি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে তারা একদিকে দেশে থেকে ষড়যন্ত্র করছে এবং একই সাথে বিদেশের মাটিতে বসেও বিদেশী টিভি চ্যানেল ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এই শক্তিকে দেশের স্বার্থ বিরোধী ষড়যন্ত্র করার আর কোন সুযোগ দেয়া হবে না।
জাহিদ মালেক আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যা গুজবে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে না। কারণ ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত করোনা সুরক্ষা অ্যাপে দেড় লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
তিনি বলেন, ক্যান্সারে বিশ্বে বর্তমানে প্রতি মিনিটে ১৭ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছে এবং দিনকে দিন ক্যান্সার রোগটি ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান। তামাকজাত দ্রব্যের কারণে, খাদ্যে ভেজাল মেশানো ও শারীরিক ব্যায়াম না করার ফলে মানুষের দেহে ক্যান্সার রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে ক্যান্সার রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে সরকার দেশের ৮টি বিভাগে বৃহৎ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে মানুষকে আর নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে ঢাকা বা দেশের বাইরে গিয়ে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা নিতে যেতে হবে না।”
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।