ব্রেকিং নিউজ :
রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ও অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে রাখা যাবে না : রিজভী শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ বিকাশে গঠনমূলক শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া চর্চা অপরিহার্য: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়া পুনর্গঠনে ব্যয় হবে ২১৬ বিলিয়ন ডলার : বিশ্বব্যাংক মাংস আমদানি করে দেশের ক্ষতি চাই না : মৎস্য উপদেষ্টা গাজা চুক্তি বাস্তবায়নে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স ইসরাইলে অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না নির্বাচন কমিশন: সিইসি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে ওসলোতে জেলেনস্কি সড়ক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপিত জেলেনস্কি ‘অস্ত্র রফতানি’ ঘোষণার জন্য সুইডেন সফর করবেন তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১০-২২
  • ৬৫৮৭৬৫৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার কর্মকালীন সময়ে বাংলাদেশ ও জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক।

রাষ্ট্রদূত সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসে আলাপ করতে দেখে ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও এ ধরনের সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে সনদে স্বাক্ষরের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতেও সহায়ক হয়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জার্মানিতে পড়াশোনার আগ্রহ বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে স্বাগত জানান।

এ ছাড়া তাঁরা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

অধ্যাপক ইউনূস তরুণ প্রজন্মের শক্তির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে তরুণরা এখন সহজেই মত প্রকাশ করতে পারে, একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এবং অন্যায় চিহ্নিত করতে পারে।’

তবে তিনি ভুয়া তথ্যের ঝুঁকির ব্যাপারেও সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘ভ্রান্ত তথ্য আসন্ন নির্বাচনের আগে আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat