জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার কলম্বিয়ায় জীব বৈচিত্র্য সম্মেলনে প্রতিনিধিদের সতর্ক করে বলেছেন, মানবতা আজ ‘অস্তিত্বগত সংকট’-এর মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি জীবন-টেকসই প্রকৃতির ভয়াবহ ধ্বংসের কারণে এই সংকটের সৃষ্টি। কলম্বিয়ার ক্যালি থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘের জীব বৈচিত্র্য কনভেনশনের কপ-১৬তম তথাকথিত কনফারেন্স অফ পার্টিসকে কানাডায় দুই বছর আগে ২৩টি লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রকৃতির ধ্বংস পর্যবেক্ষন ও অর্থায়ন প্রক্রিয়া তৈরিতে অগ্রগতি লাভ করতে হবে।
কিন্তু ‘প্রকৃতির সাথে শান্তি’ থিমযুক্ত শীর্ষ সম্মেলনটি অর্থায়নের পদ্ধতি নিয়ে মতানৈক্যের কারণে আটকে গেছে।
আলোচকরা ডিজিটালি সিকোয়েন্সড উদ্ভিদ ও প্রাণীর জেনেটিক ডেটা ওষুধ ও প্রসাধনীতে ব্যবহৃত যে সম্প্রদায় থেকে এসেছেন তার লাভ কীভাবে ভাগ করা যায় সে বিষয়েও বিভক্ত। ডেলিগেটদের বর্জ্যে নষ্ট করার সময় নেই।
জাতিসংঘের ২৩টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আর মাত্র পাঁচ বছর বাকি আছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ ভূমি, পানি এবং মহাসাগরকে সুরক্ষিত রাখা।
গুতেরেস প্রতিনিধিদের বলেছেন ‘প্রতিদিন, আমরা আরও প্রজাতি হারাচ্ছি। প্রতি মিনিটে আমরা আমাদের সাগর, নদী এবং হ্রদে প্লাস্টিক বর্জ্যের আবর্জনা ট্রাক থেকে ফেলে দিই। কোন ভুল করবেন না। এটি একটি অস্তিত্বের সংকট দেখায়।’
প্রকৃতি পর্যবেক্ষকদের সোমবার জারিকৃত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ স্থল এবং অভ্যন্তরীণ পানি এবং ৮দশমিক ৪ শতাংশ মহাসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চল সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারস রেড লিস্টের বিপন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের হালনাগাদ দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী তিন প্রজাতির মধ্যে একের বেশি গাছ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার কাঠ, ওষুধ, খাদ্য এবং জ্বালানি মানুষকে সরবরাহ করে।
মূল্যায়ন করা প্রায় ১ লক্ষ ৬৬ হাজারের মধ্যে ৪৬ হাজারেও বেশি উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতি এখন বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে।