ব্রেকিং নিউজ :
স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য: বক্তারা রোকেয়া পদকজয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সকল রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনার অঙ্গীকার: সিইসি দেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • প্রকাশিত : ২০২১-০১-০৪
  • ৭২৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বনানী কবরস্থানে। এর আগে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে রাবেয়া খাতুনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মরদেহ রাখা হয় সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ নজরুল মঞ্চের বেদিতে রাখা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন মামুনুর রশিদ ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গণসংগীত শিল্পী সমন্বয় পরিষদ, ঢাকা পদাতিক, জাতীয় কবিতা পরিষদ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন রাবেয়া খাতুন। অর্ধ শতাধিক উপন্যাস ও চার শতাধিক গল্প লিখেছেন তিনি। এমন একজন লেখিকার চলে যাওয়া বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি। তারচেয়ে বড় কথা, তিনি যে সময়ে সাহিত্য রচনা শুরু করেছিলেন, সেসময়ে নারীদের ক্ষেত্রে সেটা খুব সহজ ছিলো না। কিন্তু তিনি তার কাজে সফল হয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে রাবেয়া খাতুনের মতো খুব বেশি লেখিকা পাওয়া যাবে না, তার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। প্রার্থনা করছি, তার আত্মা যেন শান্তি পায়।’
তিনি বলেন, ‘রাবেয়া খাতুন শুধু বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেননি; বরং তিনি তার পরিবারকে একটি সংস্কৃতিমনা পরিবার হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ফরিদুর রেজা সাগর তার সন্তান, যিনি চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে দারুণভাবে তুলে ধরছেন। লালন করছেন, ধারণ করছেন এবং ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তার পুরো পরিবার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার সন্তানদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
পরে মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে জানাজায় উপস্থিত হয়ে রাবেয়া খাতুনের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। পরিবারের পক্ষ থেকে বড় জামাতা মুকিত মজুমদার বাবু সবার কাছে দোয়া চেয়ে বক্তব্য দেন। জানাজায় অংশ নেন চ্যানেল আই ও ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক রিয়াজ আহমেদ খানসহ রাবেয়া খাতুনের শুভাকাঙ্খীরা।
রাবেয়া খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি বাদ জুমা চ্যানেল আই মসজিদে রাবেয়া খাতুনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
রাবেয়া খাতুন রোববার বিকেলে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই এটিএম ফজলুল হকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়।
মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ, দুই কন্যা ও দুই জামাতাসহ অসংখ্য নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে ফরিদুর রেজা সাগর চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat