ব্রেকিং নিউজ :
স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য: বক্তারা রোকেয়া পদকজয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সকল রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনার অঙ্গীকার: সিইসি দেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৯
  • ৭৬১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তাঁরা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তাঁরা চলছে। কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভ্রান্ত করে তাদের রাজপথে নামানোর মূল পরিকল্পনাই করেছিল জামায়াত-বিএনপি।’ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান তিনি। হুমায়ুন কবির দাবি করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কোনো ইস্যু না থাকায় কোটা সংস্কারের বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনেকদিন থেকেই আন্দোলন করছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসব দাবিতে সমর্থন জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিল। গতকাল থেকে সারাদেশে আবারও আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ অনেক আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে যদি তাকান তাহলে দেখবেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল টার্গেট মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারবিরোধী প্রচার প্রপাগাণ্ডা। গতকালের তাণ্ডবের প্রস্তুতি তারা আগে থেকেই নিয়েছিল। তাদের টার্গেট ছিল আরেকটি হেফাজত ইসলামের মতো ঘটনার জন্ম দেয়ার। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সরকারের এতো এতো এজেন্সি থাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ কর্মসূচির এতো প্রচার-প্রচারণা কি করে তারা চালালো? ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে তারা সারাদেশে একই ধরণের টি-শার্ট, লিফলেট ও ব্যানার ছড়িয়ে দিল।’ এই আন্দোলনের পেছনে অন্য কোনো শক্তি আছে মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এর পেছনে কোনো একটি শক্তি নিশ্চয়ই কাজ করছে। আন্দোলনকারীরা যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে তারা এতো বিশাল অংকের অর্থ পেল কোন উৎস থেকে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। গত এক সপ্তাহে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে সংগঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলেছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা দেখেছি। কিন্তু প্রতিকারের বিষয়ে কোনো আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রশাসনের সর্বত্র এখনও বিএনপি-জামায়াতের লোকজন বর্ণচোরার মতো কাজ করছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে গোপনে গোপনে ষড়যন্ত্র লিপ্ত আছে, আন্দোলনের জন্য বিশাল অর্থ যোগান দিচ্ছে। কেউ কেউ ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাসও দিচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আমরা সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা সদা প্রস্তুত আছি। আমরাও রাজপথে আছি, থাকবো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat