ব্রেকিং নিউজ :
স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য: বক্তারা রোকেয়া পদকজয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সকল রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনার অঙ্গীকার: সিইসি দেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-০৬
  • ৫৪৯৪২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। তৎপরতা বেড়েছে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার মৎস্য শিকারীদের। এ সময় মাছ ধরতে বাঁশ-বেত দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা কারিগরদেরও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কয়েকটি মাছ ধরার ফাঁদের নাম হলো হল চাঁই, টইয়া ও পলো, ঘুনি ইত্যাদি। বর্ষার শুরুতেই এসব উপকরণের বাড়ছে কদর।
মাছ শিকারের জন্য বছরের দুটি সময় এসব উপকরণের বিক্রি বেড়ে যায়। যখন খালে-বিলে পানি কমে যায় তখন বাঁশের তৈরি এসব উপকরণ ব্যবহার করে শিকারীরা। আবার যখন বর্ষা শুরু তখনো বিক্রি বাড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁই হচ্ছে আড়াই-তিন ফুট লম্বাকৃতির গোলাকার উপকরণ এবং টইয়া চ্যাপ্টা আকৃতির। মাছ ধরার ক্ষেত্রে চাঁই ও টইয়ার ব্যবহার প্রায় একই রকম। উঁচু জমি থেকে পানি যখন সাধারণত নিচু জমিতে পড়ে তখন শিকারীরা বাঁধ দিয়ে ছোট একটা জায়গা করে চাঁই বা টইয়া দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়। চাঁইয়ের ভিতর দিয়ে ও টইয়ার উপর দিয়ে পানি যায়। এতে করে ছোট-বড় সকল প্রকার মাছ চাঁই বা টইয়াতে আটকে যায়। জায়গা এবং পানির প্রকারভেদে চাঁই ও টইয়ার সাইজ ও বিভিন্ন আকৃতির ব্যবহার করতে হয়। আর পলো হচ্ছে আড়াই-তিনফুট লম্বাকৃতির গোলাকার উপকরণ। কম পানির জায়গায় পানির উপর থেকে পলো ফেলে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে মাছ ধরা হয়। সাধারণত রাতেরবেলায় এর ব্যবহার বেশি।
এক সময় বিভিন্ন স্থানে চাঁই, টইয়া ও পলো দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন ছিল বেশি। মাছ ধরার এসব বিশেষ ফাঁদ চাঁই, টইয়া ও পলো তৈরি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। টইয়া ও পলো আকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। এক একটি চাঁই ২৫০-১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
চৌগাছা বাজারে মাছ ধরার যন্ত্র কিনতে আসেন পেটভরা গ্রামের আব্দুল আলীম, আন্দুলিয়া গ্রামের শহিদুল, হাজরা খানা গ্রামের মুন্নাফ, মহেশপুর উপজেলার জাগুশা গ্রামের বাদল মন্ডল। তারা বলেন, বর্ষার নতুন পানিতে দেখা মিলছে বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ। তারা জানান, মাছ ধরা তাদের নেশা । তাই মাছ ধরার জন্য ঘুনি-চারই কিনতে এসেছি। তবে অন্য বারের তুলনায় এ বছর দাম অনেক বেশী।
উপজেলার নায়ড়া গ্রামের আব্দুল মালেক প্রায় ২০ বছর যাবৎ মাছ শিকারের সরঞ্জাম বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বাঁশের তৈরি মাছ শিকারের সরঞ্জাম আগের মতো বিক্রি হয়না। তবে বর্ষাকাল আসলে কিছুটা বিক্রি হয়। মাছ শিকারের যন্ত্র তৈরির উপকরণ বাঁশের দাম বেশি। বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় তৈরি মজুরিও বেশি পড়ছে। যে কারণে মাছ শিকার সরঞ্জমের দামও একটু বেশি। তাছাড়া এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে, তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat