ব্রেকিং নিউজ :
বিজয়া দশমীতে ছাত্রদল নেতার ভিন্নধর্মী কর্মসূচি সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-২৭
  • ৫৬৮৭৫ বার পঠিত
  • আলমাহমুদ-ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট-সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের চর ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্রেণীকক্ষে যৌন হয়রানি, নিপীড়ন এবং ছাত্রীদের কাছে ডেকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে। একাধিকবার এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। আবারো গত বৃহস্পতিবার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে চর ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবক ও এলাকাবাসী দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয় অঙ্গনে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা।

চরভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  ৩য় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছাত্রীর অভিভাবক রেজাউল করিম জানান, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। সে একজন চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। শিক্ষক নামের কলংক। শ্রেণীকক্ষে মেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ডেকে এই লম্পট শিক্ষক তাদের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আদরের ছলে স্পর্শ করে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। গত বৃহস্পতিবার ক্লাসে ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া আমার নাতনিকে বোর্ডের পড়া দেখানোর ছলে পিছন দিয়ে দুই হাত দিয়ে উঁচু করে বুকের স্পর্শকাতর স্থানে চাপ দেয়। নাতনি ব্যথা পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। বাড়ীতে ফিরে এসে তার দাদীকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও সহকারী  শিক্ষকদের কাছে ওই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে  কঠিন বিচার দাবি করে। 

গ্রামের হিরা, বাবু ও শিহাব উদ্দিন জানান, এই ঘটনার পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দাবি করে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী। ইতিপূর্বেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ বার এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। ভুক্তভোগীরা উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁনের নিকট মৌলিক বিচার চাইলেও তারা  বিচার পায়নি বলে  জানান। 

স্কুলের সহকারি শিক্ষক আব্দুল খালেক ও আয়শা খাতুন জানান, শিক্ষক আব্দুল মালেকের এই ধরনের আচরণের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকট হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই তার বিরুদ্ধে মেয়ে শিক্ষার্থীরা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করে থাকেন। আমরা অনেকবার প্রধান শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অবহিত করেছি তাতে কোন কাজ হয়নি।

চর ভাটবেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে সহকারি শিক্ষক মালেকের বিরুদ্ধে বার বার এই ধরনের অভিযোগ পাচ্ছি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান খাঁন মহোদয়কে ঘটনাটি অবহিত করা হয়েছে। এই শিক্ষককে নিয়ে আমরা চরম বিপদে আছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ছাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে  বলেন, শিক্ষক মালেক গত কয়েক বছর আগে বিয়ে করেন। পরে বউ তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। তার পর থেকেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। 

উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat