ব্রেকিং নিউজ :
বিজয়া দশমীতে ছাত্রদল নেতার ভিন্নধর্মী কর্মসূচি সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১০-১২
  • ৫৮৯৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যার ঘটনার মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ের আরও এক বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আরও চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। 
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন। 
দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. কাউসার, সাইফুল ইসলাম, মো. সিরাজ, আলাউদ্দিন আলো, মো. আউয়াল, মো. রাজু, মো. জাকের, মো. তুহিন ও রিয়াজ প্রকাশ চিতা। 
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সুমন, মো. সুজন, সজিব হোসেন ও মিলন প্রকাশ মিলা। 
এজাহার সূত্র জানা যায়, ওমর ফারুক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান জিসানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিলো। ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর জিসানসহ তার লোকজন ফারুককে গুলি করে। দীর্ঘদিন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে ফারুক বাড়িতে ফেরেন। এরমধ্যে জিসান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে প্রতিবেশি ইসমাইল হোসেন বাড়িতে এসে ফারুককে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির কাছাকাছি একটি দোকানে বসে তারা চা পান করছিল। কিছুক্ষণ পরই আসামিরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ফারুককে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আটজনের বিরুদ্ধে চন্দগ্রঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হক্কানি ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরমধ্যে মামলার প্রধান আসামি মিলন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat