ব্রেকিং নিউজ :
স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য: বক্তারা রোকেয়া পদকজয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সকল রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনার অঙ্গীকার: সিইসি দেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-০৬
  • ৪৩৫৫৪৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউনিসেফ বলেছে, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি চার শিশুর মধ্যে একজনের বেশী ‘মারাত্মক’ খাদ্য সংকটের মধ্যে বাস করে। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, এতে বিশ্বে ১৮ কোটিরও বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে।
বুধবার প্রকাশিত ইউনিসেফের একটি নতুন প্রতিবেদনের প্রধান লেখক হ্যারিয়েট টরলেস বলেছেন, ‘গুরুতর শিশু খাদ্য দারিদ্র্য এমন শিশুদের বোঝানো হয় যারা খাদ্য বঞ্চিত, তাই তারা শুধুমাত্র দুই বা তার কম খাদ্য গ্রুপ গ্রহণ করে মারাত্মকভাবে বেঁচে আছে।’ এএফপি একথা জানিয়েছে।
হ্যারিয়েট টরলেস বলেন, ‘এই দিন এবং যুগে এটা মর্মান্তিক, যেখানে আমরা জানি কি করা দরকার।’
ইউনিসেফ সুপারিশ করেছে, ছোট বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন আটটি প্রধান খাবারের মধ্যে পাঁচটি খাবার গ্রহণ করা দরকার।
গ্রুপগুলো হচ্ছে, বুকের দুধ, শস্য, শিকড়, কন্দ এবং কলা; ডাল, বাদাম এবং বীজ জাতীয়, দুগ্ধ; মাংস, মুরগি এবং মাছ; ডিম; ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি এবং অন্যান্য ফল ও সবজি। কিন্তু পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪৪ কোটি শিশুর প্রায় ১০ কোটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্য সংকটের মধ্যে বাস করছে। এর অর্থ হলো প্রতিদিন পাঁচটি খাদ্য গ্রুপে তাদের প্রবেশাধিকার নেই। তাদের মধ্যে ১৮ কোটি ১০ লাখ তীব্র খাদ্য দারিদ্র্যের সম্মুখীন হচ্ছে। যারা সর্বাধিক দু’টি খাদ্য গ্রুপ গ্রহণ করতে পারে।  
ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে শিশুরা প্রতিদিন মাত্র দু’টি খাদ্য গ্রুপ গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ,ভাত এবং কিছু দুধ গ্রহণ করে তাদের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত গুরুতর অপুষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’ এই অপুষ্টির কারণে স্বাস্থ্য ক্ষয় হতে পারে। অস্বাভাবিকভাবে ওজন হারিয়ে জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
টরলেস বলেন, এমনকি যদি এই শিশুরা বেঁচে থাকে এবং বড় হয়, ‘তারা অবশ্যই উন্নতি করে না। তাই তারা স্কুলে কম ভালো করে।’
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘যখন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন তারা একটি শালীন আয় উপার্জন করা কঠিন বলে মনে করে এবং তা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে দারিদ্র্যের চক্রকে ঘুরিয়ে দেয়।’ ‘আপনি যদি চিন্তা করেন একটি মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শরীরের এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের বিকাশের জন্য, রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এসবের বিকাশ ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনের উপর নির্ভর করে।’
গুরুতর শিশু খাদ্য দারিদ্র্য প্রায় ২০ দেশে কেন্দ্রীভূত, বিশেষ করে ভয়াবহ পরিস্থিতি সোমালিয়ায়। যেখানে ৬৩ শতাংশ ছোট শিশু খাদ্য সংকটে প্রভাবিত হয়; গিনি (৫৪ শতাংশ); গিনি-বিসাউ (৫৩ শতাংশ) এবং আফগানিস্তান (৪৯ শতাংশ)। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের প্রতিবেদনে বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করা হয়েছে, গাজা উপত্যকা, যেখানে ইসরায়েলের হামলায় ‘খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পতন নিয়ে এসেছে।’ এতে দেখা গেছে যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন শিশু গুরুতর খাদ্য দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat