তখন তিনি টগবগে তরুণ, সবেমাত্র ‘দ্য গডফাদার’ মুক্তি পেয়েছে। পুরোপুরি তারকাখ্যাতি না পেলেও দর্শকমহলে বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন। পানশালা থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথ ভুলে গিয়েছিলেন হলিউড তারকা আল পাচিনো।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাস্তায় রাস্তায় হন্যে হয়ে বাড়ির পথটা খুঁজছিলেন পাচিনো। সেই মুহূর্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন এক নারী। পাচিনোকে তার প্রাইভেট কারে ওঠার আমন্ত্রণ জানান তিনি। চালকের আসনে বসা সেই নারী বলেছিলেন, ‘তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেব।’
কিছু না ভেবেই ঢুলুঢুলু চোখে গাড়িতে উঠে পড়েন পাচিনো। তবে তার জন্য কী অপেক্ষা করছে, তখনো বুঝে উঠতে পারেননি। ততক্ষেণ নেশার ঘোর খানিকটা কেটে গেছে। গাড়িটা খানিকটা এগিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে আল পাচিনো আবিষ্কার করলেন, গাড়িটা তার বাসার দিকে নয়, অন্য দিকে যাচ্ছে।
আল পাচিনো জানতে চাইলেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছো?’ সেই নারী গলা উঁচিয়ে বলছেন, ‘আমি তোমাকে অপহরণ করছি।’ পাচিনো ভেবেছিলেন, সেই নারী মশকরা করছেন। ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘সনি বয়’-এ ঘটনাটি লিখেছেন ৮৪ বছর বয়সী আল পাচিনো।
আল পাচিনো লিখেছেন, একপর্যায়ে উপায়ান্তর না পেয়ে গাড়ির দরজা খুলে লাফ দেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি থেকে লাফ দেওয়ার পর সেই নারীর মন গলে। তাকে তার বাসায় পৌঁছে দিতে সম্মত হন।
‘দ্য গডফাদার’ (১৯৭২), ‘স্কারফেস’ (১৯৮৩), ‘সেন্ট অব আ ওম্যান’ (১৯৯২)-এর মতো বিখ্যাত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আল পাচিনো। এর মধ্যে ‘সেন্ট অব আ ওম্যান’-এ অভিনয়ের জন্য অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই হলিউড তারকা।