ব্রেকিং নিউজ :
স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য: বক্তারা রোকেয়া পদকজয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সকল রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনার অঙ্গীকার: সিইসি দেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১২-১৩
  • ৩৪২৩৪৫৭৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
“ভূয়া কবিরাজের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে” শিরোনামে একটি দরখাস্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার  কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে কবিরাজ আমির হোসেন এর বিরুদ্ধে জমা দেওয়া হয়। আমির হোসেন এই বিষয়টা নিয়ে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ শুরু করেন। আমি ও আমার ছোট ভাই এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এমনকি আমাকে হত্যার হুমকি, আমার বোনকে মারধর,মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন  শাহ্ মোঃ দিদার হোসেন আল-চিশতী। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আসেরা গ্রামের মৃত শাহ মোঃ ছদর হোসেন পীর সাহেবের পূত্র ও বিশ্ব আশেকের মঞ্জিল দরবার শরীফের গদ্দিনিশীন পীর। 
আজ ১৩/১২/২০২৫ ইং শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- আমার গ্রামের কবিরাজ আমির হোসেন দীর্ঘদিন যাবত হারভাঙ্গার চিকিৎসা করে আসছেন। হারভাঙ্গার চিকিৎসার উপরে তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা কোন সার্টিফিকেট নেই। এ বিষয়ে গত ১৬ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে এই বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদরের অধিনে তদন্তাধিন আছে। এরই জের ধরে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ শুরু করেন। আমাকে প্রাণে মারার জন্য তার আপন ছোট ভাই মহিবুর হোসেনকে মালয়শিয়া থেকে বাংলাদেশে আনেন। মহিবুর হোসেন একজন চিহ্নিত দাঙ্গাবাজ। তিনি বাংলাদেশে এসে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন, মোঃ আমির হোসেনসহ এই বাহিনী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র ও আমাকে প্রাণে মারার চেষ্ঠা তদবির চালায়। গত ১৭ নভেম্বর আমাকে না পেয়ে কবিরাজ মোঃ আমির হোসেন ও তার আপন ছোট দুই ভাই মোঃ মহিবুর হোসেন, আবুল হোসেন আমার আপন ছোট বোন পারভিন আক্তারকে মারধর করে এবং তার গায়ে থাকা আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় মুরুব্বিয়ান বিষয়টি সামাজিক বিচারে শেষ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমির হোসেন ও তার ভাইরা সামাজিক বিচারে বসতে অস্বীকৃতি জানান এবং মুরুব্বিয়ানদেরকেও হুমকি-ধামকি দেন। আমার বোন পাঁচ দিন অপেক্ষা করে মোঃ আমির হোসেন, মোঃ মহিবুর হোসেন ও আবুল হোসেনকে আসামী করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি থানায় আমলযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। কয়েকদিন পর আসামীরা কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে চলে যান। জামিন নেওয়ার পর মোঃ আমীর হোসেন, মোঃ মহিবুর হোসেন ও আবুল হোসেন এবং মহিবুরের বাহিনীর সদস্যরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং আমার বোনকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি শুরু করেন।
আরও বলেন- ঘটনা শুনে সেদিন সন্ধ্যায় আমি বাড়িতে যাই। রাত ৮ টার দিকে মোঃ আওয়াল মিয়া, মোঃ মখলিছ মিয়া, মোঃ মুক্তার হোসেন, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ ইকবাল মিয়া ও মোঃ হুমায়ুন কবির আমার কাছে আসেন। আমার বোনকে যে মারধর করেছে এটা আবারও বিচার সালিশে শেষ করতে চায়। এ সময় মোঃ আবুল হোসেনের বসত ঘরে চিৎকার চেচামেচি শুনা যায়।  চিৎকার চেচামেচি শুনে আমার ঘর থেকে তারা আবুল হোসেনের ঘরে যান। কিছুক্ষণ পর তারা আমার ঘরে ফেরত আসেন। তখন তাদের কাছে কিসের জন্য চেচামেচি হয়েছিল জানতে চাই। তখন তারা জানান-  জমির হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ মুক্তা বেগম আবুল হোসেনের ঘরের সিড়ি থেকে পরে হাতে ব্যাথা পেয়েছেন। উল্লেখ্য উক্ত মুক্তা বেগম মোঃ আমির হোসেন, মোঃ মহিবুর হোসেন ও আবুল হোসেনদের আপন ভাইয়ের স্ত্রী। 
এর কিছক্ষণ পরই আমি হবিগঞ্জে আমার ভাড়া বাসায় চলে আসি। পরের দিন সকাল বেলা আমি আমার বাড়িতে গেলে লোকমুখে শুনতে পাই যে, মুক্তা বেগমের হাতের ব্যাথা পাওয়া নিয়ে আমি এবং আমার আপন ছোট ভাই শাহ মোঃ আজিবুর হোসেনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে মোঃ আমির হোসেন। এই ঘটনা শুনার পর আমি দ্রুত হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় যাই এবং মুক্তা বেগমের হাতে ব্যাথা পাওয়ার বিষয়টা নিয়ে একটি জিডি এন্ট্রি করি, জিডি নং-১২৬১। এ ঘটনায়  মুক্তা বেগমকে বাদী করে আমি ও আমার আপন ছোট ভাই শাহ মোঃ আজিবুর হোসেনকে আসামী করে একটি মিথ্যা সিআর মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন-আগামী ০৫,০৬ ও ০৭ জানুয়ারি ২০২৬ইং আমার বাবা শাহ মোঃ ছদর হোসেন পীর সাহেবের তৃতীয় বাৎসরিক মহাপবিত্র ওরুস শরিফ, উক্ত ওরুস শরিফ উৎযাপনের জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় লিখিত অনুমোদন দিয়েছেন। উক্ত ওরুসকে বানচাল করার জন্য এই মহিবুর বাহিনী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি বিভিন্ন ভক্তবিন্দকে ওরুসে না আসার জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন মিডিয়াকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন -  মহিবুর হোসেন ও তার বাহিনী গত ৮ ডিসেম্বর মিথ্যা তথ্য দিয়ে “দৈনিক হবিগঞ্জের জননী” ও “দৈনিক তরফ বার্তায়” লোকড়ায় পিতার বাৎসরিক উরুসকে কেন্দ্র করে পুত্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ শিরোনামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করানো হয়। এতে আয়াত আলী নামে এক ব্যক্তি মিথ্যা ও বানোয়াট কিছু কথা বলেন। যেগুলোর আদৌ কোনো সত্যতা নেই।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন- গত ৫ ডিসেম্বর মোঃ মহিবুর হোসেন তার ফেইসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্ট দেন, তাতে তিনি উল্লেখ, করেন- আমার পরিচালিত  ইজি লাইফ ই-কমার্স লিঃ এর নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ও প্রতিষ্ঠানটির নামে বিভিন্ন থানায় ১০৫টি মামলা রয়েছে। বাস্তবে, ২০১৭ সাল থেকে ইজি লাইফ ই-কমার্স লিঃ সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। ইজি লাইফ ই-কমার্স লিঃ এর নামে কোনো থানায় অভিযোগ থাকবে দূরের কথা একটি জিডিও নেই, কোটি টাকা আত্মসাৎ দূরের কথা একটি টাকাও আত্মসাতের কোনো অভিযোগ নেই। এই পোষ্ট দিয়ে আমি ও আমার  প্রতিষ্ঠানের অপূরনীয় ক্ষতি করেছেন, যা পূরণ করা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা প্রক্রিয়া চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat