সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রোপা আমন ধান রক্ষার্থে ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ বসিয়ে ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় পরীক্ষা নিরিক্ষা চালু করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের যে সকল ব্লকে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে সে সকল ব্লকে রাতের বেলায় আলোক ফাঁদ বসানো হচ্ছে। ঐ সকল ব্লকে রোপা আমন ধানের জমিতে ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় ও উপকারী পোকামাকড় পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
কৃষকদেরকে সচেতন করে সেবিষয়ে কি করণীয় তার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি রোপা আমন ধান চাষের চলতি মৌসুমে সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উপজেলায় ২ হাজার ১৫ হেক্টর পরিমাণ বেশী জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯ হাজার ১২৫ হেক্টর। সেখানে ধান চাষ হয়েছে ১১ হাজার ১৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে। আগাম করে চাষ করা রোপা আমন ধানের ছড়ি বেরিয়েছে। বেশীর ভাগ মাঠের ধান এখন থোড়মুখী। এসময়ে কৃষি অফিস থেকে তদারকি করে কৃষকদেরকে সতর্কতার মাধ্যমে পোকামাকরের আক্রমণ যাতে না ঘটে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে ফলনের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাষ করা রোপা আমন ধান জমিতে কীটনাশক ও অন্যান্য ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদেরকে সচেতনতা এবং এ বিষয়ে কি করণীয় তার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন বিগত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি আবাদি জমিতে যে সকল ব্লকে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে সে সকল ব্লকে রাতের বেলায় আলোক ফাঁদ বসিয়ে পোকার উপস্থিতি পরীক্ষা করে কৃষকদের সেবিষয়ে কি করণীয় তা নিয়ে সচেতন করা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আলোক ফাঁদে ফসলের জমির ক্ষতিকর পোকা দমন হয়ে থাকে। তবে সব পোকা ফসলের ক্ষতি করে না বলে জানানো হয় ।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাখুয়া ব্লকে আলোক ফাঁদ বসিয়ে ফসলের ক্ষতিকর
পোকার উপস্থিতি দেখতে তার সাথে ওই ব্লকের অন্যান্য কৃষকসহ কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।