গেরিলাবিরোধী অভিযানের সময় কলম্বিয়ার ১৮ জন সেনাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
বোগোতা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে সানচেজ জানান, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চকো বিভাগে পানামা সীমান্তের কাছে সেনাদের ঘিরে ফেলে ‘প্রায় ২০০ জন মানুষ’ এবং সেনাদেরকে জোরপূর্বক আদিবাসীদের সংরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৬৪ সালে কিউবার বিপ্লবের অনুপ্রেরণায় গঠিত ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় গেরিলা সংগঠন।
মাদক উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ ইএলএন-এর হাতে রয়েছে। পাচার, চাঁদাবাজি থেকে লাভবান অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতায় কলম্বিয়া বর্তমানে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা সংকটের মুখে পড়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনা অপহরণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, সামরিক অভিযান সীমিত করা হলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ‘গুরুতর ঝুঁকির’ মধ্যে পড়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য বেসামরিক জনগণ— বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়কে অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিয়োগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য হুমকি থেকে সুরক্ষা দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, সেনা অপহরণ বা রাষ্ট্রকে দুর্বল করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
তিনি জানান, সেনাদের নিরাপদে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, চকো প্রাদেশিক সরকার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে একটি ফৌজদারি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
চকোর গভর্নর নুবিয়া করদোবা বলেন, আইনসম্মত দায়িত্ব পালনরত ১৮ সেনাকে আটক করার পর তাদের মুক্তির উদ্যোগ নিতে তিনি একটি জরুরি নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক আহ্বান করেছেন।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে মিকাই ক্যানিয়নে শত শত বাসিন্দা মিলে ৭২ সেনাকে আটকে রেখেছিল।
তারও এক মাস আগে গুয়াভিয়ারি বিভাগে তিন দিন আটক থাকার পর ৩৩ জন ইউনিফর্মধারী সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়।