ব্রেকিং নিউজ :
বড়দিন ও থার্টি-ফার্স্ট নাইট ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের নিরপেক্ষতা চান পরওয়ার সিলেটে দুই দিনব্যাপী হাছন উৎসব সমাপ্ত ঝিনাইদহ-৪ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফিরোজের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন বাগেরহাটে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে উঠান বৈঠক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত মাঠপর্যায়ে নির্বাচনের উদ্বুদ্ধকরণ প্রচার জোরদারে জেলা তথ্য অফিসারদের প্রতি তথ্য উপদেষ্টার নির্দেশ
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১২-২২
  • ৭৮৪২৫৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
চব্বিশের জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

নির্ধারিত সময়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। 

তবে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও কামালকে একটি অভিযোগে দেয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে প্রসিকিউসন।

গত ১৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঐতিহাসিক এই রায় ঘোষণা করেন। 

ঘোষিত রায়ে দণ্ডের পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সাথে শহীদদের পরিবারকে এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম শুনানি করেন। 

এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি ও আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। 

অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। এছাড়া রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। 

সর্বোমোট ৫৪ জন সাক্ষী এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এক পর্যায়ে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রুভার) রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একের পর এক  অভিযোগ জমা পড়ে। 

এখন দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সে সব অভিযোগের বিচার চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat