শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। ফাইল ছবি
বাংলা সংস্কৃতি চর্চার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ছায়ানটের সংস্কৃতি-ভবন পরিদর্শন করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
তিনি ছায়ানটে হামলার নিন্দা জানিয়ে ছায়ানট সংগঠকদের প্রতি তার সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, এই হামলায় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো সেটা কখনোই পূরণ হবার নয়।
ছায়ানটের সভাপতি সারওয়ার আলী ও সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবনে পৌঁছালে সংগঠনের কর্মীরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ঘুরে ঘুরে দেখান। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, কোনো মানবিক রাষ্ট্রে এ রকম ঘটনা সহ্য করার মত নয়। প্রকৃত দোষীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছায়ানটে ছোট ছোট শিশু বাচ্চারা পড়ালেখা করে। ওই হামলায় তাদের ক্লাসরুম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ বাচ্চাদের বই ও মূল্যবান আর্ট সামগ্রী নষ্ট করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবহৃত অনেক মূল্যবান সামগ্রী নষ্ট করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর সঠিক বিচার এই সরকার অবশ্যই করবে।
ছায়ানটের কর্মকর্তারা জানান, কবি শামসুর রহমান, সুফিয়া কামালসহ দেশের বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের লেখা বই ও তাদের প্রকাশনা সব আগুন দিয়ে ও কুপিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাচ্চাদের পড়ালেখার বইসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রসহ সামগ্রিক জিনিসপত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এসব ক্ষতি কোনোভাবেই পুষিয়ে নেবার মত নয়। তার পরেও এক সাগর শোক বুকে চেপে রেখে তারা আবারও এই ভবনেই বাচ্চাদের ক্লাস নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তারা বলেন, আক্রান্ত হওয়ার পর ছায়ানট দ্রুত স্বাভাবিক নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে চেষ্টা করছে। আত্ম প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে সব প্রতিকূলতার মধ্যেও বাঙালির আবহমান সংস্কৃতিচর্চা, সংগীত সাধনা ও প্রসারে স্থির প্রত্যয়ে যাত্রায় অবিচল থাকবে ছায়ানট।