ব্রেকিং নিউজ :
স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি অপরিহার্য: বক্তারা রোকেয়া পদকজয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যে কোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সকল রাজনৈতিক দল মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন সন্তানদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন পরিচালনার অঙ্গীকার: সিইসি দেশ কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৯-০৮
  • ২৩৪৫৪৬৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা  জেলায় বন্যার্তদের মধ্যে  ডায়রিয়া, ইনফেকশন, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে । এসব রোগে জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বন্যার প্রভাবে ডায়রিয়া, রেসপাইরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (আরটিআই), চর্ম, চোখের প্রদাহসহ মানুষ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বন্যা কবলিত ১৪টি উপজেলার মানুষের মধ্যেবিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এসব উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানুষ। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ২৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানের লক্ষ্যে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতাল ডাক্তারা দিন রাত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ সকাল ৯টা থেকে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ মোকাম বাড়ি ঈদগাহ মাঠে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতাল ও ফতেহাবাদ ঐক্য ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে দেখা যায়। চিকিৎসকসহ ১৮ জনের একটি দল এ মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন।
একাধিক চিকিৎসকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে বেশিরভাগই পানিবাহিত ও চর্মরোগী বেশি আসছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক লোকজনের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্তদেরও চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন নাসিমা আক্তার  বলেন, বন্যার পানিতে পানিবাহিত রোগ ভাসছে। এসব পানিবাহিত রোগের ফলে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। আক্রান্তদের কালক্ষেপণ না করে হাসপাতালে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। জেলায় মোট ২০৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। কোনো ওষুধেরই অপ্রতুলতা নেই। আমরা সব মানুষকে সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলতে বদ্ধ পরিকর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat