ব্রেকিং নিউজ :
জনগণের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি: আবদুস সালাম নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে জামায়াত-এনসিপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা সিলেটে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত চট্টগ্রামে দখলমুক্ত হচ্ছে শেখ বশির সড়ক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এস এম আমজাদ হোসেনের স্মরণসভা পিরোজপুরে অসচ্ছল মেধাবীদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ৩৫৫ কোটি টাকা, সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ভূমি সেবা সত্যিকারার্থে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে: ভূমি সচিব পুঁজিবাজারে অনিয়ম : সাবেক চেয়ারম্যানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জাবি ভিসির
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০৯
  • ৮০১৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ বলেছেন, বেইজিং আশা করছে যে- বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন ‘সংবিধান ও আইনের’ ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের পর দেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আসন্ন নির্বাচনটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে যে তারা কিভাবে এই নির্বাচন ও গণতন্ত্র চায়।’
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ও চীনের দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নত হওয়ার ব্যাপারে চীন পূর্ণ আস্থাবান। 
ইয়াও ওয়েন আরো বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের বন্ধু এবং এদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ, উদ্যোগ ও কর্মী রয়েছে এমন একটি দেশ হিসেবে আন্তরিকভাবে আশা করে যে-বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সকলেই জনগণের মৌলিক স্বার্থকে পূর্ণ বিবেচনায় নেবে, তাদের মতপার্থক্য যথাযথ উপায়ে সমাধান করবে এবং যৌথভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।’ 
তিনি বলেন, চীনের পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী বেইজিং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার যে কোনো শক্তির বিরোধিতা করে।
চলমান অবরোধ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে চীনের নাগরিক ও সম্পদ সুরক্ষিত থাকবে বলে চীন আশাবাদী। 
ওয়েন আরো বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা নিরাপদ বোধ করছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ।’  
বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, ২০২৬ সালের মধ্যে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। 
রাষ্ট্রদূত পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানো এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের ওপর জোর দেন।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ওয়েন বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ‘যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা মিয়ানমার কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দফা ‘কাম এন্ড টক’ মিশন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের নিয়ে রাখাইন রাজ্যে ‘গো এন্ড সি’ মিশন করতে সক্ষম হয়েছি। বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে এবং প্রত্যাবাসনের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছে।
চীনের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত সাত বছরে চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ১২টি মহাসড়ক, ২১টি সেতু এবং ২৭টি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্প নির্মাণ করেছে, যা বাংলাদেশী জনগণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে অবদান রেখেছে। 
ওয়েন আরো বলেন, গত সাত বছরে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের মজুদ ২৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭০০টি চীনা উদ্যোগ কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিইএবি প্রেসিডেন্ট কে চাং লিয়াং। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিসিএবি সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat